News Post 01

News Post 01

আমাদের দেশে অভিনয় এখন একটি নির্ভরযোগ্য পেশা। টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপন, মানসম্মত বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের সাথে হাল আমলে ওটিটির মতো নতুন মিডিয়াম যুক্ত হয়েছে। দিন দিন বাড়ছে কাজের পরিমাণ। সে কারণেই অভিনয় করার সুযোগ এখন আরো বেশি বিস্তৃত। কিন্তু সেই হারে ভালো অভিনয়শিল্পী বাড়ছে না। এর সবচেয়ে বড় কারণ নিজেকে তৈরি না করা।

অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিতে হলে অভিনয় দক্ষতা আয়ত্ত করতে হবে। আর অভিনয় দক্ষতা আয়ত্ত করতেই, জানতে হবে এবং শিখতে হবে অভিনয়। অভিনয় একটি শিল্প। অন্য সব শিল্পের মতো এটাও চর্চার বিষয়।

আবার অনেকেই মনে করেন, অভিনয় করতে হলে সুন্দর চেহারা থাকতে হবে, লম্বা হতে হবে—এটা ভুল।

বলিউড তারকা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এসব ছাড়াই বেশ দামি শিল্পী হয়ে উঠেছেন।

ইদানীং তরুণদের মধ্যে এই পেশায় আসার ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের অনেকের মধ্যে সম্ভাবনা থাকলেও এবং অনেকেই্ এই পেশায় ক্যারিয়ার শুরু করলেও, তাদের অভিনয় জীবন সাফল্যের সাথে বেশি দিন অতিবাহিত করতে পারছেন না। এর একটি বড় কারণ অভিনয় না শিখে আসায় তাদের অনেকেরই অভিনয়ের ফাউন্ডেশন বা ভিত মজবুত নয়, স্থিরতার অভাব, নিজের দক্ষতাকে প্রতিমুহূর্তে সময়োপযোগী করতে চেষ্টা না করা, বই পাঠে অনাগ্রহ, সর্বোপরি সঠিক গাইডেন্সের অভাবও অনেক বড় কারণ। মূলত এসব কারণে, ইচ্ছা এবং সম্ভাবনা থাকার পরও, নতুন প্রজন্মের অনেক অভিনয়শিল্পী, অভিনয় শিল্পে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে পারছেন না বা শুরু করলেও বেশি দিনি কন্টিনিউ করতে পারছেন না।

এমনই একটি প্রতিষ্ঠান ফ্রেশ ইনস্টিটিউট অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন (ফিফট) এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই নতুনদের জন্য, তিন মাস, ছয় মাস ও এক বছরব্যাপী অভিনয় প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে এবং ইতিমধ্যে ১৬টি ব্যাচ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছে। ফিফটের অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিডিয়ায় কাজ করছে।

ফিফট শুধু প্রশিক্ষণ দিয়েই ছেড়ে দেয় না, এখানে যারা যুক্ত হন তাদের সঠিক গাইডেন্স দেয় ফিফট এবং সরাসরি কাজের সুযোগও করে দেওয়া হয়।

এখানে মূলত শেখানো হয় ক্যামেরার সামনে সরাসরি অভিনয়, অভিনেতার প্রস্তুতি, অভিনয় কী, অভিনয়ের প্রকার-প্রকরণ, চরিত্রায়ণ, চরিত্র বিশ্লেষণ, অভিনেতার পর্যবেক্ষণ শিক্ষা, অভিনেতার ইম্প্রোভাইজেশন, অভিনয়ের কলাকৌশল, অভিনয়ের রস, অ্যাক্টিটিং-রিঅ্যাক্টিং এবং লিসেনিং, অভিনেতার হাঁটাচলা, ব্যক্তি-অভিনেতা এবং চরিত্রের পার্থক্য, শারীরিক ফিটনেস, শুদ্ধ উচ্চারণ, আবৃত্তি, ধ্বনির ব্যবহার, গলার মডিউলেশন, শ্বাসের ব্যবহার, মূকাভিনয়, মেডিটেশন, কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি, কস্টিউমের ব্যবহার, মেকআপ সম্পর্কে ধারণা, সেট ও প্রপসের ব্যবহার, কন্টিনিউটি ইত্যাদি।

এসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে একজন নতুন অভিনয়শিল্পীর প্রাথমিক ভিতটি তৈরি হয়ে যায়। এরপর বাকিটা নিয়মিত চর্চা এবং সাধনার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়াও অভিনয় কোর্স সম্পন্ন করার পর, একজন নবীন অভিনয়শিল্পী কিভাবে অভিনয়ের সুযোগ পাবেন, সেসব বিষয়েও প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়।